নিজেই বানাও ওয়াটার টারবাইন!!

পানির গতিশক্তিকে ইংরেজিতে হাইড্রো-পাওয়ারও বলে। অনেক ওপর থেকে পড়া পানিকে একটা কোন প্রপেলার বা পাখার মত জিনিস এ ফেললে সেটা তীব্র বেগে ঘোরা শুরু করে। এই গতিশক্তিকে পরে অনেক রকম শক্তিতে পালটানো সম্ভব। মুলত পানির ওই ওপর থেকে আসা গতিশক্তিকে সেই পাখা বা যাকে টারবাইনও বলে সেখানে ফেলে সেটাকে পালটানো হয় যান্ত্রিক শক্তিতে, আর পরে সেটাই বিদ্যুতশক্তিতে রূপান্তরিত করা হয়। জলবিদ্যুত যে আমরা শুনি সেটা কিন্তু পানি থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ বের হচ্ছে এমন না, বরং এই রকম ওপর থেকে পানিকে ফেলে সেটা দিয়ে একটা মটর এর পাখা ঘোরানো হয়, ফলে সেখান থেকে বিদ্যুৎ বানানো যায়।

আমরা চাইলে এমন একটা ছোটখাট জলবিদ্যুত কেন্দ্রের মত করে একটা ছোট টারবাইন বানাতে পারি। আমাদের লাগবে গোল সিলিন্ডারের আকৃতিতে কেটে নেয়া এক টুকরা শোলা। এবারে সেটার চারদিকে পাখার মত করে প্লাস্টিকের বা পাতলা কাঠের টুকরা ঢুকিয়ে দেই- পাশের প্রথম ছবির মত করে। এবারে কর্কশীটের সিলিন্ডারের ভিতরে মধ্যে লম্বালম্বি দিকে একটা ছিদ্র করে একটা সরু কাঠি ঢুকিয়ে এটিকে কোন স্ট্যান্ড দিয়ে ছবির মত ঝুলিয়ে রাখা যাক। এবার একটা প্লাস্টিকের মিনারেল ওয়াটারের বোতলের নিচের দিকে ছিদ্র করে স্কচটেপ দিয়ে আটকে দেই।

এখন বোতলে পানি ভর্তি করে আমাদের বানানো আগের সেই প্রপেলারওয়ালা টারবাইনটি যেখানে রাখা তারচেয়ে একটু উঁচুতে রাখি। এবারে ছিদ্রের মুখটা এমন ভাবে খুলি যাতে পানি সরাসরি এসে প্রপেলার এর পাখার ওপর পড়ে, কী হবে? পাখা প্রবল বেগে ঘুরতে শুরু করবে।

টিকটালিকের প্রশ্নঃ

বোতলটি যদি আরও উঁচু জায়গায় রাখা হয় টারবাইনের ঘূর্ণনে কোন পরিবর্তন হবে কি? হলে কেন?

নিজেই বানাও ওয়াটার টারবাইন